Print This Publication

অনীক রুদ্রের কবিতা

 


লক্ষ্মণরেখা


লক্ষণ বলে কেউ নেই তবে 

                একটি অদৃশ্য রেখা বা গণ্ডি কোথাও 

টানা আছে আইনের খাঁচায় 

কিচির-মিচির করে সেই অদৃশ্য মহাকাব্যিক

               গণ্ডির মধ্যে তার নাচন কোঁদন

বেরলেই (সেখান থেকে) বিপত্তি, বিষয়টা তেমনি

জটিল, ধুরন্ধর ব্যাসকূট ভেদি গণিতের মত

রেখাটি যখন অদৃশ্য, কোথায় আছে একমাত্র

বিচারকরাই জানেন সে-কারণে

কবিতাও একটি সংযমের সাধনা, অবভাস

কিন্তু ছােট্ট সপ্তসিন্ধু দশদিগন্তের পরিসীমায়

কবিদের বাক ও লিখন কর্মের দাপটে

দণ্ডিত হয়েছেন অনেকেই মৃত্যু পর্যন্ত

এ সব মৃত্যুর অর্থ, আইনের চোখে হেরে যাওয়া

                               হলেও যা পরাজয় নয়

পাঠক বা শ্রােতারাও যুগান্তরের পথে

লক্ষ্মণরেখা মানেন নি

চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন হােক

মেধা ও মননের


আমি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার আগেই।


সিলিকন উপত্যকা


উজ্জ্বল সপ্রতিভ আর নিষ্প্রভ

আলাের ক্রমবিস্তার

সুচনা করে দিনাবসান


এক ফাঁকে লুকিয়ে সুর্যোদয়

আমাদের এখানে এখন, আর

সারা বছর গ্রীষ্ম লেগেছে


যা ছিল শস্যশ্যামল, অতিপ্রজ

নির্মল যা ছিল, গরীবের অহঙ্কার

চেনা-অচেনা বিপর্যয় তাকে দুমড়ে দিচ্ছে


লাস্য ও লালসার ঘাের নিংড়ে নিচ্ছে।

শ্ৰমশক্তি, কামশক্তি....তারা এখন

অকারণ ঘুমােবে আকাশের কালাে গর্তে


হিমশীতল, যৌন শৈত্যের ঘুম

সময় অসময়ের পারাপারহীন তন্দ্রা

তারই মধ্যে কখন কিভাবে দুটো-একটা


ঘাসের অঙ্কুর মাথা তুলবে, ভাঙাচোরা

নুড়ি পাথরের খাঁজে, হিলিয়ামের বীর্যে

বহুযোজন দূরের নিশিডাক শুনে উঠে আসবে

চন্দ্রা



Comments

Popular Posts